নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলাতেই সদ্য বিদায়ী ২০২০ সাল পার করতে হয়েছে টেলিকম খাতকে। তবে অতিমারির ভেতরেও রচিত হয়েছে নতুন বছরের জন্য একটি শক্ত ভিত। সেই ভিত্তিও ওপর দাঁড়িয়ে ২০২১ সালে ৫জি সেবা চালু এবং বিটিসিএল এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা অর্জন এবং সাবমেরিন খাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন টেলিকম মন্ত্রী।
“করোনার বছরেই আমরা ৫জি রোডম্যাপ অনুযায়ী তরঙ্গ ফ্রি করেছি। ২০২৩ সালের মধ্যে এ প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা থাকলেও আমাদের যে কোনো দিন এ সেবা চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে। নতুন স্বাভাবিক জীবনে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের ব্যান্ডউইথের চাহিদা অনেক বাড়বে। এ কারণেই শিল্পাঞ্চলে অথবা বিশেষ বিশেষ কিছু ইকোনোমিক জোন এবং কৃষি খামারগুলো ৫জি সেবা চালুতে অগ্রাধিকার পাবে।”
নতুন বছরের প্রত্যাশা বিষয়ে এমনটাই বলছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
“কারণ ৫জির সঙ্গে টেকনলোজি যুক্ত আছে। এবং টেকনলোজি এর উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে,”- যোগ করেন মন্ত্রী।
গ্রহাকদের চাহিদা মেটাতে নতুন বছরের শুরুতেই অপারেটরগুলো ৪জি সেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত তরঙ্গ কিনবে বলে প্রত্যাশা করছেন মোস্তাফা জব্বার। অপারেটরগুলোর কাছে এখন সেবা দেয়ার মতো ‘অর্ধেক তরঙ্গ নেই’ মন্তব্য করে পর্যাপ্ত তরঙ্গ না নিলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর পদক্ষেম নেবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
এর বাইরে ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপন, অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ ও টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের মতো বড় বড় উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের।