বন্যা শুরুর ৩ দিন থেকে ৩ ঘণ্টা আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের ফোনে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পলক বলেন, তিন দিন পূর্বে, অন্ততপক্ষে ৩ ঘণ্টা পূর্বেও যদি আমরা বন্যার পূর্বাভাস আমাদের নদী অববাহিকায় যারা আছে এই মানুষগুলোকে আমরা দিতে পারি তাহলে অনেক জীবন এবং সম্পদের ক্ষতির পরিমান আমরা কমিয়ে আনতে পারবো। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট বন্যা সেটির পূর্বাভাস যদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দেয়া যায় তাহলে অনেক জান এবং সম্পদের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব।
পলক তার বক্তব্যে ভার্চুয়াল কোর্ট, ই-নথিসহ অন্যান্য ডিজিটাল ব্যবস্থার নানান দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট ব্যবহার করে দেড় লাখ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে, ই-নথি ব্যবহার করে ১১ হাজার অফিসে লক্ষাধিক কর্মকর্তা প্রায় এককোটি ৬১ লাখ ফাইল ডিজিটালি সম্পাদন করেছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশসহ উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যার পূর্বাভাস পৌঁছানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে। একইসাথে পূর্বাভাস সময় বাড়িয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পূর্বে পূর্বাভাস পৌঁছাতে চায় মন্ত্রণালয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতবছর বন্যা ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার জনগণের ৩ লাখ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে কাছে ১০ লক্ষ নোটিফিকেশন পাঠানো হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পৌঁছাতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ও এটুআই এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা গুগলের সহযোগিতায় এই উন্নত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বন্যা শুরুর ৩ দিন থেকে ৩ ঘণ্টা আগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের ফোনে বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ বার্তা পাঠানো হবে।