মালয়েশিয়া বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু- কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠি হলো ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ’ হ্যাকাথন। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আড়াই ঘণ্টার এই হ্যাকাথনে অংশ নেয় ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪৮ জন শিশু- কিশোর।
ভার্চুয়াল এই হ্যাকাথন পরিচালনা করেন ইয়ুথ হাবের প্রেসিডেন্ট পাভেল সারওয়ার। রোববার সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিডি এক্সপ্যাট এর সহ- প্রতিষ্ঠাতা মুশফিকুর রহমান রিয়াজ। অনুষ্ঠানে অভিবাবকদের মধ্য থেকে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেস শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও নুসরাত শামরীন।
এনবিএল মানি ট্র্যান্সফার ও ব্রাইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পৃষ্ঠপোষকতায় এই আয়োজনের শুরু হয় ফেব্রুয়ারি থেকে, কোডিং কর্মশালার মধ্য দিয়ে। কর্মশালয় স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং, পাইথন প্রোগ্রামিং ও অ্যাপ ইনভেন্টর শেখানো হয়। আর সেই প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞানের সম্মিলন ঘটিয়ে মেধা আর মননের মিশেলে দারুণ সব প্রকল্প তৈরী করে খুদে শিল্পীরা। এর মধ্য থেকে ১৯টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয় বিচারকদের সামনে।
হ্যাকাথনে বিচারক হিসাবে ছিলেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর হেড অব আইটি সাদাত শাহিদ, আক্সিয়াটা ডিজিটাল এডভার্টাইজিং এর রিজিওনাল ডিরেক্টর অব এক্যুইজিশন আরফাকুল আলম ও এরিক্সন এর গ্লোবাল আইটি ম্যানেজার সামিউল হাসান।
ঘরে বসে নেয়া প্রশিক্ষণ নিয়েই তারা যে প্রকল্পগুলো করেছে তাতে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। বিচার করতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ঘোষণা করা হলেও কাউকে পিছিয়ে রাখা দুরুহ বলে মত তাদের।
প্রতিযোগিতায় ফাওয়াজ আম্মার সিনান চ্যাম্পিয়ন এবং রামিন সাদিক খান ও আওয়াব মুতাসিম রানার্স আপ হয়েছেন। বাকি ১০ বিজয়ীরা হলেন- জেনুবিয়া ইসলাম, আরহাম মুহাম্মাদ রাহমান, মাহদি বিন মাজফুজ, জারা আফরিন আলি, মানহা বিনতে মাহফুজ, জারিফ হামিম, নাসিফ রাকিন, কাজী আলিমা আয়নান, জেরিন সাবিহা মৌলি, জোবায়ের বিন বাসার, দানিয়েল আবির, তাজবিদ, রিয়াদ আহসান ইহান, নাশওয়ান আয়ান এবং নূর।