বর্তমান বিশ্বের জ্বালানী হচ্ছে ডাটা। ডিজিটাল অর্থনীতির অন্যতম এই অনুষঙ্গের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর অভিপ্রায়ে চলছে দুই দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলন। সামিটে দেশ বিদেশের ডাটা সায়েন্স বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের সেশন পরিচালনা করছেন। দিচ্ছেন হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।
রবিবার (২২ নভেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে এই ডাটা সায়েন্স ‘ডাটা সায়েন্স সামিট-২০২০’ উদ্বোধন করেন এটুআই প্রকল্পের টেকনোলজি এক্সপার্ট ফজলে মুনিম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া।
সামিটের সভাপতি ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী প্রধান কৌশিক সরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ খান সাকিরের সঞ্চালনায় দিনের প্রথম সেশন ডাটা সায়েন্স ফর গভর্নমেন্ট বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন এটুআই এর ফিনটেক টেক লিড মোঃ ফজলে মুনিম, সফটওয়্যার প্রকৌশলী মোঃ তানভীর কাদের। এই সেশনে বাংলাদেশের কৃষিতে বিগ ডেটার ব্যবহারের ওপর একটি উপস্থাপনা তুল ধরা হয়। একইসঙ্গে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কৃত্রিম বুদ্ধির ব্যবহার এবং বিগ ডেটা শেয়ার নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে “ডাটা সায়েন্স সামিট ২০২০” এর “ডিজিটাল রূপান্তর” নিয়ে টক সেশনে আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি সাইনস মালয়েশিয়ার অপারেশন এন্ড মার্কেটিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. তেহ সিন ইন। এই পর্বটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ফজলে মুনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী দেশ। এই লক্ষ্য নিয়েই এটুআই সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ জন্য দুটি স্তম্ভ প্রয়োজন। একটি হচ্ছে ডাটা, অন্যটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ দুটি বিষয় একটি অপরটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এজন্য ডাটা সায়েন্সের চর্চা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফজলে মুনিম আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ উদ্ভাবক তৈরি করা। প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ উদ্ভাবক তৈরি হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি স্বপ্ন পূরণ হবে। এজন্য ডাটা সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সম্পর্কে তরুণদেও মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ধরনের সামিট ডাটা সায়েন্স সম্পর্কে তরুণদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করবে। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের সময়পোযোগী সামিট আয়োজন করার জন্য।
যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগ।