ডিজিটাল বাণিজ্যের নামে পুর্জি ব্যবসায় শুরু করা ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে আসা আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন একটু শিথিল হলে সংস্থাটি তদন্তের কাজ করবে। আর অভিযোগ তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইভ্যালি ডটকম-এর চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪% গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং মার্চেন্ট-এর পাওনা পরিশোধ করা ওই কম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।’
এর আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়ে পণ্য ডেলিভারি দেয়নি ই-ভ্যালি। মার্চেন্টদের ১৯০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এসব অর্থ ফেরতের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এদিকে ই-ভ্যালি বা এধরণের ই-কমার্সের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা আইনের আশ্রয় নিলে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও প্রতিযোগিতা কমিশন।
গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও, রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা।