তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের ই-কমার্স এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়েছে। প্রবৃদ্ধির একটা উদাহরণ হয়ে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে ই-ক্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং এই সেক্টরের কর্মীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রমের কারণে। ই-ক্যাব একটি নবীন সংগঠন হয়েও তাদের কর্মতৎপরতা এবংআপদকালীন সময়ে সেবা দিয়ে সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয়ে দিয়ে আইসিটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
ই-কমার্স দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে বৃহস্প্রতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাব আয়োজিত ‘‘ ই-কমার্স ফর লিভিং’’ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সেবার মাধ্যমে ‘‘ঘরে থাকাই নিরাপদ-ইকমার্সই ভবিষ্যৎ’’ প্রতিপাদ্যকে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, পৃথিবীর যে তিনটি দেশ করোনাকালীণ সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এতে ই-ক্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট জনাব শমী কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান হাফিজুর রহমান এবং বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। আজ মুজিব বর্ষে এবং স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে এসে আমরা তার সুফল ভোগ করছি। বিগত সময়ে ই-ক্যাব সেযব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবসময় আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। করোনার ঢেউ যখন দ্বিতীয়বার এসেছে তখন সরকার প্রথমে চলাচল সীমিত ঘোষণা করে ৬ টা পর্যন্ত। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এবং সরাসরি গিয়ে বর্তমানে এই সময়টা রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করেছি। এভাবে আমরা মানুষকে সেবা দিতে অনলাইন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবের সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ফিন্যান্স সেক্রটারী আব্দুল হক অনু, জয়েন্ট সেক্রেটারী নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর জিয়া আশরাফ, ডিরেক্টর সাইদ রহমান ও জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন।